আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মদ হত্যা মামলায় সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দিয়েছেন। এর আগে নয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার টাঙ্গাইল কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার (১৬ মে) আদালত থেকে ওই নির্দেশনা জারির পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফীজুল রহমান জানান, এর আগে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদ হত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইলের-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও পরিবহন ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। পরে আদালত থেকে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ফারুর আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন।
Discussion about this post