জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র ফলে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে ভেসে তিনটি হরিণ লোকালয়ে চলে এসেছে। পরে স্থানীয়রা বন বিভাগে হাতে হরিণগুলো তুলে দেয়।
শনিবার বিকেলেই বন বিভাগের কর্মীরা হরিণগুলো উদ্ধার করে রোববার (২২ মে) সকালে চর কুকরির বনে হরিণ তিনটি ছেড়ে দেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে ভোলার নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় চার থেকে পাঁচ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তীব্র স্রোতে চরফ্যাশন উপজেলা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর কুকুরি মুকরি ৩নং ওয়ার্ডের নবীনগর এলাকার মনুরা বাজারে হরিণ তিনটি চলে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন ও বনরক্ষী আবুল হোসেন জানান, শনিবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড় “রোয়ানু” চলাকালে নদীর জোয়ারের পনিতে চর কুকুরি মুকরির এলাকার অধিকাংশ বন পানিতে প্লাবিত হয়। এসময় জোয়ারের পানিতে তিনটি হরিণ নবীনগর এলাকায় চলে আসে। স্থানীয়রা হরিণগুলোকে উদ্ধার করে। বন বিভাগে খবর দেয়।
ভোলা বন বিভাগের বন্যপ্রানী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, লোকালয়ে হরিণ আসার খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন হরিণগুলোকে উদ্ধার করে রোববার চর কুকরির গহীন অরণ্যে অবমুক্ত করে।
Discussion about this post