জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় আপন সন্তান বিশাল চন্দ্র আনন্দকে (৫) হত্যার দায়ে মা আদুরী রানী (৩৫) ও সৎ বাবা বীপেন চন্দ্রকে (৪০) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ফারুক মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম ও আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট রেয়াজুল হায়দার খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে মামলার এজাহারের তথ্যে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান হিন্দুপাড়া এলাকার স্ত্রী আদুরী রানী প্রথম স্বামী বিকাশ চন্দ্রকে ডিভোর্স দিয়ে বীপেন চন্দ্রকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর আদরীর ছেলে সন্তান আনন্দ তার নানীর বাড়িতে থাকতেন। মাঝে মাঝে সে মায়ের কাছেও যেত। কিন্তু আনন্দের ওই বাড়িতে যাতায়াত সৎ বাবা বীপেন ভালভাবে মেনে নিতে পারতেন না। এক সময় ছেলের প্রতি মায়েরও বিতৃষ্ণা জন্মে।
এ পরিস্থিতিতে ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল ঘটনার দিন আনন্দ নানী বাড়ি থেকে মায়ের কাছে গেলে বীপেন ও আদুরী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গলাটিপে হত্যার পর ঘরের মেঝেতে গর্ত করে পুতে রাখেন।
এদিকে সন্ধ্যার পর নানী শোভা রানী নাতি আনন্দকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে এলাকার কয়েকজন মিলে আদুরীর বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আদুরী স্বীকার করেন যে তারা আনন্দকে হত্যা করেছেন। এসময় আদুরীর স্বামী বীপেন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আনন্দের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ওই বছরই পুলিশ বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ ও শুনানি শেষে সোমবার বিচারক আসামি মা আদুরী রানী ও তার দ্বিতীয় স্বামী (সৎ বাবা) বীপেন চন্দ্রের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন।




Discussion about this post