মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে করা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১২ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
বুধবার (০১ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এই তারিখ ধার্য করেন।
সময় আবেদন সম্পর্কে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ গণমাধ্যমকে জানান, মামলাটি বদলিমূলে দায়রা জজ আদালতে প্রথম ধার্য তারিখ ছিল। বেগম জিয়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। তাই আমরা সময় আবেদন করেছিলাম।’
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাদী অ্যাডভোকেট ড. মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী। ওইদিন আদালত খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করে।
এর আগে গত ০৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া এ মামলাসহ মোট ৫টি মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন গ্রহণ করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ‘আজকে বলা হয়, এতো (৩০ লাখ) শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও তো অনেক বিতর্ক আছে।’
বেগম জিয়ার এমন বক্তব্যের পরদিন দৈনিক আমাদের সময়সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সবিস্তারে বিষয়টি প্রকাশিত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল ঘোষণাপত্রের পরিপস্থিই নয়, দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে বর্তমান সরকারের প্রতি ঘৃণার সঞ্চায় করে। যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে গত ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদন অনুযায়ী গত ২১ জানুয়ারি মামলার অনুমতি প্রদান করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।




Discussion about this post