অর্গানোগ্রাম বহির্ভূতভাবে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনসমূহে অডিটকরণের লক্ষ্যে গঠিত অডিট পার্টি সমূহকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যোগ্য অডিটরদের দ্বারা কেন মিশন ও অডিটপার্টি গঠন করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বুধবার (০১ জুন) বিচারপতি সৈয়দ মোহম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম শাহিদুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করে।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের কম্পট্রলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএএজি), অর্থসচিব, পররাষ্ট্রসচিব ও মিশন অডিটের মহাপরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অর্গানোগ্রাম বহির্ভূতভাবে অডিট পার্টি গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ অডিটরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সভাপাতি এ কে এম শাহজালাল মিয়া।
আবেদনে বলা হয়, একজন অডিটর, অডিটর সুপার এবং অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট অফিসারের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট মিশন অডিট পার্টি গঠনের জন্য অর্গানোগ্রামে বলা হয়েছে। কিন্তু অডিটর জেনারেল এই অর্গানোগ্রাম না মেনে নিজের খেয়াল খুশি মতো মিশন অডিট পার্টি গঠন করছে, যা অর্গানোগ্রাম পরিপন্থি। আবেদনের পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।
প্রসঙ্গত, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন সমূহের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে মিশন অডিট পার্টি। গত বছর বিদেশে বাংলাদেশের ২৭টি মিশনে অডিট পার্টি পাঠানো হয়েছে।




Discussion about this post