সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৬-২০১৭ মেয়াদের নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সাদা প্যনেলের নির্বাচনী প্রচারে বলা হয়েছিল, ‘আইনজীবীদের জন্য মহা পরিকল্পনা আছে।’ আর সেই মহাপরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম একটি সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের জন্য বহুতল ভবন নির্মান। কিন্তু এই পরিকল্পনার দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় হতাশ আইনজীবীরা বহুতল বিশিষ্ট আইনজীবী সমিতি কমপ্লেক্স নির্মানের জোরালো দাবী তুলেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট বারে সাড়ে তিন সহস্রাধীক আইনজীবীর কিউবিক্যালস নেই, প্রাকটিস করার জন্য বসার যায়গা নেই এমনকি দাঁড়ানোর যায়গা নেই। ফলে আইনজীবীদের ভোগান্তি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
সুপ্রিম কোর্ট বারে এবারে নির্বাচিতদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের এখনি সময় মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সাদা প্যানেলের কর্মী হিসাবে সমিতির সম্মানিত সদস্যদের নিকট সেই মহা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ডোর টু ডোর ইলেকশন ক্যাম্পেইন চালিয়েছিলাম। বিজ্ঞ আইনজীবীগণ সাদা প্যানেলের প্রতি আস্থা রেখে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সাদা প্যানেলকে সংখ্যা গরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী করেছেন। এখন সময় হয়েছে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমাদের দাবী উপস্থাপন করার সুযোগ এসেছে। আমাদের প্রিয় গুরুজন, সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রেসিডেন্ট শ্রদ্ধেয় বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী জনাব ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন স্যার জননেত্রীর নিকট আমাদের দাবীর কথা নিবেদন করলেই তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের জন্য বহুতল বিশিষ্ট আইনজীবী সমিতি কমপ্লেক্স নির্মানের দাবী পূরণ করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনজীবী বান্ধব উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিপূর্বে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবন নির্মান করে দিয়েছেন। তিনি ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা বার ভবন নির্মান করে সেই ভবন উদ্ভোধন করতে আসলেন। আমরা আবার জননেত্রীর কাছে দাবী করলাম আমাদের লাইব্রেরির জন্য পঞ্চাশ লক্ষ টাকা চাইলাম, তিনি দিলেন এক কোটি টাকা। তিনি আইনজীবী বান্ধব। তার নিকট দাবী পেশ করার সুযোগ হয়েছে। সমিতির বর্তমান কমিটি সেই কাজটি করবেন, এটাই আমাদের দাবী।
এদিকে আগামীকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। মাহফিলে আইনজীবীরা বহুতল বিশিষ্ট আইনজীবী সমিতি কমপ্লেক্স নির্মানের দাবী উত্থাপন করতে পারেন। আর এই দাবী তখন আরও জোরালো হবে যাতে করে প্রধানমন্ত্রী বার ভবন নির্মান বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান।




Discussion about this post