একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরে আলবদর বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা আশরাফ হোসেনসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে মামলার রায় যেকোনো দিন ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এ মামলার আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক ও এস এম ইউসুফ আলী। পলাতক আসামিরা হলেন— অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ আবদুল বারী, মো. হারুন ও মোহাম্মদ আবুল হাসেম।
রোববার (১৯ জুন) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের (বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ সোহরাওয়ার্দী) ট্রাইব্যুনালে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই নির্দেশ দেন।
এর আগে মামলার ট্রাইব্যুনালে মামলার আইনি যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে উপস্থিত থেকে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী মিজানুর রহমান ও গাজী এম এইচ তামিম।
উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি যেকোনো দিন রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৫ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কার্যালয়ে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত ৯২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে জামালপুরের উক্ত ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, লাশ গুম, লুটপাট, নির্যাতন ও অপহরণসহ ১০ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের পাঁচটি অভিযাগ পাওয়া গিয়েছে।
এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৬ পাতার দালিলিক প্রমাণ এবং ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধের সময়কাল ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয়েছে।
যুদ্ধ চলাকালে আসামিরা জামালপুরে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে হত্যা, ৫০ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করে প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।




Discussion about this post