ভারতীয় গণমাধ্যমের সর্বশেষ খবরে জানা যায়, জাকির নায়েক আপাতত ভারতে না ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছেন। সেখানে তিনি কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করবেন।
এদিকে, জাকির নায়েকের পূর্বনির্ধারিত একটি সংবাদ সম্মেলন ও একটি স্কাইপে কনফারেন্স বাতিল করা হয়। সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব তথ্য জানান।
অপরদিকে, ঢাকার গুলশানে অভিজাত হলি আর্টিসান বেকারি রেস্টুরেন্টে হামলায় জড়িতদের উৎসাহিত করায় জাকির নায়েকের ভুমিকা ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছেন ইসলামী এ
চিন্তাবিদ।
ওই বিবৃতিতে জাকির নায়েক বলেন, গুলশানে জঙ্গি হামলায় তার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। তার ধর্মবিষয়ক বক্তব্যে যুবকদের জেহাদি হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলেও দাবি করেন ইসলামী এ গবেষক।
গুলশান হামলায় অংশ নেয়া দুই তরুণ রোহান ইমতিয়াজ এবং নিবরাস ইসলাম ভারতীয় এ ইসলামী চিন্তাবিদের অনুসারী বলে গণমাধ্যমে উঠে আসার পর তাকে ঘিরে শুরু হয় নতুন বিতর্ক। এ বিতর্কের মুখে ভারত জাকির নায়েকের বক্তব্য খতিয়ে দেখার ঘোষণা দেয়। একদিন পর শনিবার (৯ জুলাই) তার প্রতিষ্ঠিত পিস টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। পরদিন (১০ জুলাই) পিস টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে বাংলাদেশ সরকারও। সামাজিক যোগযোগের সব মাধ্যমেও জাকির নায়েকের বক্তব্য প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
উত্তেজনা ছড়ানোর বিতর্কে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা জাকির নায়েকের সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেশ ক’বছর আগে। ২০১১ সালে যুক্তরাজ্য সরকারও সেদেশে জাকির নায়েকের সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে ভারত সরকার জাকির নায়েকের বক্তব্য খতিয়ে দেখছে বলে গণমাধ্যমে খবর আসার পর পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে থাকা এ ইসলামী চিন্তাবিদ দেশে ফিরে এ বিষয়ে মুম্বাইয়ে ধরতে সোমবার (১১ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান তুলে ধরার কথা জানান।
পরে সংবাদ সম্মেলন বাতিল কথা সংবাদ মাধ্যমকে অবহিত করে জাকির নায়েকের মুখপাত্র ও তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিচার্স ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য তানভীর শেখ।
তানভীর শেখ আরো জানান, জাকির নায়েক আপাতত দেশে ফিরছেন না। কেন কিংবা কী কারণে জাকির নায়েক যাত্রা বাতিল করেছেন সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
সোমবারের ওই বিবৃতিতে, জাকির নায়েক সন্ত্রাসী, জঙ্গি তৎপরতায় সমর্থনের কথা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান।’ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নিরপরাধ মানুষ হত্যার নিন্দাও জানান তিনি।
মহারাষ্ট্রে জন্ম নেয়া এ চিকিৎসক দাবি করেন বিশ্বের ১০ কোটিরও বেশি মানুষ স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও ইউটিউবের মাধ্যমে তার বক্তব্য শুনছেন। সমালোচকরা বলছে, ২০০৯ সালে ইউটিউবে আপলোড করা এক বক্তব্যে জাকির নায়েক বলেছেন, স্বাভাবিক অবস্থায় আত্মঘাতী বোমা হামলা নিষিদ্ধ। পরে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় বলেছেন, ফিলিস্তিনের মতো নির্যাতনের পরিস্থিতিতে, ধর্মীয় পণ্ডিতদের পরামর্শে এবং পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী এটি করা যেতে পারে।




Discussion about this post