জেলার পুলিশ লাইসন স্কুলের সহকারী শিক্ষকের (ইংরেজি) বেতন ভাতা পরিশোধের বিষয়ে হাই কোর্টের আদেশ অমান্য করায় সিলেট পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসানের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট।
আদালত অবমানার দায়ে কেন কামরুল আহসান ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে এ রুল জারি করা হয়।
আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়ছে।
২০১২ সালে এক সিভিল রিভিশন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট ওই শিক্ষককে ১৯৯৫ সাল থেকে তার পাওয়া সব বেতন ভাতা পরিশোধের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ লিভ টু আপিল করে পরাজিত হয় ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট।
জানা যায়, ১৯৯০ সালে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে জেলা পুলিশ লাইনস স্কুলে যোগদান করেন শিক্ষক রাশেদুল করিম চৌধুরী। পরবর্তীতে ৯৫ সালে এ শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।
৯৫ সালের আগস্ট মাসে চাকরিতে পুনর্বহালের প্রার্থনা করে সিলেটের সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন শিক্ষক।
২০০২ সালের মে মাসে চাকরিতে বহাল ও তার বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করতে রায় দেয়া হয় সিলেটের সহকারী জজ আদালত।
সে রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল স্কুল কর্তৃপক্ষ আপিল করলে শুনানি শেষে আদালত জেলা জজ স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে ভুক্তভোগী শিক্ষক রিভিশন আবেদন করেন ২০০৪ সালে। সে আবেদনের শুনানি করে হাই কোর্টে শিক্ষকের পক্ষে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনে সাড়া মেলে তাদের।
এরপর ৩০/৮/২০১৫ সালে হাইকোর্ট এরপর হাইকোর্টের আদেশ (শিক্ষককে বেতন ভাতা পরিশোধ করার আদেশ অমান্য করায় আদালত অবমাননার আবেদন করেন শিক্ষক। শুনানি করে আজ আদালত এ আদেশ দেন।




Discussion about this post