মিরপুর ডিওএইচএস-এ আটক ৪৪ নেপালের নাগরিক রাজধানীর বনানী এলাকার একটি হোটেলে কাজ করতেন। দুই শিফটে ভাগ হয়ে ডিউটি করতেন তারা। গাড়িতে করেই তাদের আনা-নেওয়া করা হতো।
শুক্রবার (০৫ আগস্ট) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বাংলানিউজকে বিষটি জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বনানীর ওই হোটেলে তাদের কাজের ব্যবস্থা করেন অলি উল্লাহ নামে এক বাংলাদেশি। যিনি আদম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
তারা জানান, চলতি বছরের ২ মে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ঢাকায় আসেন এই ৪৪ নেপালি। এরপর অলি উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। ২২ মে মিরপুর ডিওএসচএস’র ৭ নম্বর রোডের ১০৬০ নম্বর বাসায় ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তারা। বাসাটির মালিক সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির বলেন, ৪৪ নেপালির থাকার জন্য পুরো বাসাটি ভাড়া নেন আদম ব্যবসায়ী অলি উল্লাহ। তার বাড়ি কুমিল্লায়। ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে আসেন আটক নেপালের নাগরিকরা। তবে ১৯ জুন তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ভিসার মেয়াদ বাড়াতে অলি উল্লাহর কাছে পাসর্পোট জমা দেন তারা। তবে কারও পাসপোর্ট ফেরত দেননি তিনি।
বাড়ির কেয়ারটেকার জলিল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এখানে ৪৭জন নেপালের নাগরিক থাকতেন। তবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরে যান। তাদের ভিসার মেয়াদ ছিলো।
বাড়ির সামনে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসায়ী মো. জাহিদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ বাসায় পুলিশ আসে। শুক্রবার এখন পর্যন্ত আছে। তবে এখানে থাকা নেপালি নাগরিকরাও বাসার ভেতরেই আছে। পুলিশ সদস্যরাও আছেন।
তিনি বলেন, ‘কারও সঙ্গে ওই রকম পরিচিয় ছিলো না, তবে তারা প্রায়ই মোবাইলের রিচার্জ কার্ড নিতে আসতেন। কখনও ফ্ল্যাক্সিলোড করেনি। সিগারেট নিতে বাইরে বের হলেও কারও সঙ্গে কথা বলতো না।’
এদিকে, আদম ব্যবসায়ী অলি উল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ। আর আটক ৪৪ নেপালের নাগরিককে ওই বাসাতেই রাখা হয়েছে।
ওসি দাদন ফকির বলেন, মূলত ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায়-ই তাদের আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিষয়টি ঢাকায় নেপালের দূতাবাসকেও জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আইনি প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে ওসি দাদন মিয়া বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে আটকদের নেপালে পুশব্যাক করা হবে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।
Discussion about this post