বৈঠককালে ঘুমিয়ে পড়ার অপরাধে প্রাণই দিতে হলো উত্তর কোরিয়ার এক মন্ত্রীকে। তিনি দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী কিম ইয়ং জিন। পিয়ংইয়ংয়ের সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের নির্দেশে গত মাসে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও হাফিংটন পোস্টের।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়ং জুন-হি জানান, উপ-প্রধানমন্ত্রী কিম ইয়ং জিনের প্রাণদণ্ড গত মাসে কোনো একসময় কার্যকর করা হয়। তিনি দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে ছিলেন। গত মাসে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে হত্যা করা হয়। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের অধীনে একাধিক উপ-প্রধান শাসক আছেন। ইয়ং জিন ছিলেন তাদের মধ্যে একজন।
সিউলের কর্মকর্তারা জানান, কিম ইয়ং জিন ছাড়াও উত্তর কোরিয়া সরকারের আরও দুই শীর্ষ ব্যক্তি
নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত নয়। এরা তিনজনই উনের সঙ্গে বৈঠককালে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তবে জিনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে বলে জানায় সিউল। যদিও পিয়ংইয়ংয়ের এসব তথ্য তারা ঠিক কীভাবে পেলেন, তা স্পষ্ট করেননি দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, মে মাসে উত্তর কোরিয়ার এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার খবর প্রচার হলেও পরে তিনি বেঁচে আছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি পরে তাকে দেশটির সরকারি অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে দেখা যায়। সাম্প্র্রতিক সময়ে কার্যকর হওয়া কিম ইয়ং জিনের মৃত্যুদণ্ডের খবর যদি মিথ্যা হয়, তবে শিগগির হয়তো তাকে কোনো না কোনো গণঅনুষ্ঠানে দেখা যাবে।
রাষ্ট্রের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাণদণ্ড কার্যকর করলে সে খবর উত্তর কোরিয়া সাধারণত দেয় না। সর্বশেষ সঠিক যে খবর দেশটি দেয়, তা হলো_ ২০১৩ সালে বিরোধের জেরে নিজের ফুপা চ্যাং সং থিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছিলেন কিম জং উন।
Discussion about this post