আগামী ০২ অক্টোবর নাগরিকদের উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতিও গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
স্মার্টকার্ড সরবরাহের ক্ষেত্রে ঢাকার ৫০ লাখ ভোটারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সংস্থাটি। তাদের মধ্যে অনেকেই ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ১০ হাজার ভোটারের আইডি কার্ড সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। ফলে তারা ভুল তথ্য সম্বলিত স্মার্টকার্ডই পাবেন।
সূত্র জানিয়েছে, স্মার্টকার্ড উদ্বোধন কার্যক্রমের প্রস্তুতি সভায় গত ০৫ সেপ্টেম্বর বিষয়টি ইসি’র নজরে আনে এনআইডি অনুবিভাগ। সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই নাগরিকদের আগের মতোই ভুল তথ্যের স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে ফের তাদের ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
ইসি’র উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে এখন প্রায় ১০ কোটি ভোটার রয়েছেন। তাদেরকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি নাগরিক ২০১৫ সালে ভুল সংশোধনের আবেদন করেন। এসব নাগরিকের বেশিরভাগ যদি ভুল স্মার্টকার্ড হাতে পান তবে উন্নত মানের এ কার্ডের প্রতি আগ্রহ কমে যাবে। ভোগান্তিও বাড়বে। কাজেই স্মার্টকার্ড সরবরাহের আগে ভুল সংশোধনের আবেদনগুলোর নিষ্পত্তি করে নেওয়াই উচিত।
ইসি’র সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ২০১৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নাগরিকদের অবগত করেছি। কিন্তু অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করেননি। তাই অনেকের স্মার্টকার্ডে ভুলই থেকে যাবে। এক্ষেত্রে যারা ভুল তথ্যের স্মার্টকার্ড পাবেন, তাদের আবারও সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে’।
আগামী ০২ অক্টোবর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্টকার্ড উদ্বোধনের পর ০৩ অক্টোবর থেকে ঢাকায় পুরোদমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার একটি চরেও একই দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ স্মার্টকার্ড বিতরণ করবেন।
ঢাকার ৯৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ক্যাম্প করে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। নাগরিকরা ক্যাম্পে এসে আগের লেমিনেটিং করা কার্ডটি জমা দিয়ে চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও দশ আঙ্গুলের ছাপ দেবেন। এরপর স্মার্টকার্ডটি নেবেন।
২০০৮ সালে এনআইডি প্রকল্প হাতে নেয় এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। এরপর তারা ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য আইডিইএ নামের নতুন আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয়। যার মেয়াদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
তবে ইসি’র সচিব সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের সব নাগরিকদের স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য শিগগিরই আরেকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। অন্যথায় সরকারি তহবিল থেকেই অর্থের যোগান সৃষ্টি করা হবে।




Discussion about this post