রাজধানীর বিমানবন্দর থানার কাওলার সিভিল এভিয়েশনের স্টাফ কোয়ার্টারে জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে চিকিৎসক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি সমন জারি করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন সাক্ষ্য দিতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমানসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সি রাফিউল আলম তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত জাহাঙ্গীরের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের প্রতি নতুন করে সমন জারি করেন।
আগামী ১ নভেম্বর বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। যাদের সমন দেওয়া হয়েছে তার হলেন, জাহাঙ্গীরের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৎকালীন মেডিক্যাল অফিসার মোখলেসুর রহমান, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার তৎকালীন এসআই সিদ্দিকুর রহমান, এসআই এরশাদ আহমেদ ও এসআই মকবুল ইসলাম।
আসামিরা হলেন, নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী মুক্তা জাহান, তার কথিত প্রেমিক জসিম উদ্দিন ও জসিমের বন্ধু মাহবুবুর রহমান।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ২০১৪ ১৮ নভেম্বর নিহতের কিশোরী মেয়ে এ্যামি জাহান (১৩) ও একমাত্র ছেলে মাশরাফি রাব্বানী (৯) তার মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট বিমানবন্দর থানাধীন কাওলার সিভিল এভিয়েশনের স্টাফ কোয়ার্টারে নিজ বাসায় খুন হন জাহাঙ্গীর। তিনি পেশায় ড্রাইভার ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের খালাতো ভাই মো. আব্দুল লতিফ বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এজাহারে কারও নাম ছিলো না।
পরবর্তীতে তদন্তে ঘটনার সাথে স্ত্রী মুক্তা জাহান, তার পরকীয়া প্রেমিক জসিম ও জনৈক মাহবুবুর রহমান জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিমানবন্দর থানা পুলিশের এসআই আবু বকর সিদ্দিক তাদের গ্রেফতার করেন।
২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। আসামিরা সবাই বর্তমানে জামিনে আছেন।
Discussion about this post