দিনাজপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক আলোচনার মধ্যে রংপুর নগরীর একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের দুই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা হওয়ার পর ওই তিন ছাত্রকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটলেও ভয়ে তারা প্রকাশ করেননি বলে পুলিশকে জানান।
এরা হলেন নর্দার্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন, তার দুই সহযোগী পলাশ ও শাকিল।
গত ১৮ অক্টোবর দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর ‘নর্দার্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের’ প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থী নোট নিতে পাশের ‘মেরাজ ছাত্রবাসে’ যান এক সহপাঠী নিমাইয়ের কাছে।
সেখানে যাওয়ার পর তৃতীয় বর্ষের আলমগীর তাদের বাইরে দাঁড়িয়ে না থেকে উপরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তখন তরা দুজন ছাত্রাবাসের উপরে যান। এরপর আলমগীর তাদেরকে নিমাইয়ের কক্ষে আটকে রাখেন এবং নিমাইকে বের করে দেন। পরে দুই সহযোগী পলাশ ও সাকিলকে ডেকে এনে রাতভর ধর্ষণ করেন বলে মামলায় বলা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, বিষয়টি কাউকে জানালে আরও ক্ষতি করার হুমকি দেওয়ায় তারা প্রথমে প্রকাশ করেননি। পরে পরিবারের সদস্যদের জানান।
নর্দার্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, পরিবারের সদস্যরা সোমবার বিষয়টি তাকে জানান। এরপর তিনি কোতোয়ালি থানায় অবহিত করলে ওসি তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেন।
“মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাদেরকে থানায় নিয়ে মামলা করা হয়।”
কোতোয়ালি থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, দুই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Discussion about this post