সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় হাইকোর্টের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ সারসংক্ষেপ দাখিলের জন্য উভয় পক্ষকে এই সময় বেঁধে দেন।
আদালত বলেছে, এই সময়ের মধ্যে সারসংক্ষেপ দাখিল করতে হবে। তা করা না হলে সারসংক্ষেপ ছাড়াই আপিলের শুনানি শুরু হবে।
প্রসঙ্গত তত্কালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। দরগাহ প্রাঙ্গণে জুমার নামাজ শেষে ফেরার পথে তাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক কামাল উদ্দিন নিহত হন। এছাড়া বেশ কয়েকজন হতাহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে রায় দেয়।
মামলায় হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ তিন আসামিকে দেয়া ফাঁসির রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। মুফতি হান্নান ছাড়াও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল (৪০) ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে (৩৬) দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে মুফতি হান্নানের ভাই মহিবুল্লাাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি (৩২) ও মুফতি মইনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ ওরফে খাজাকে (৩১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ও বহাল রাখে আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা সকলেই কারাগারে।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্তরা আপিল করেন। এই আবেদনটি আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকার এক নম্বরে অন্তর্ভুক্ত ছিল।




Discussion about this post