১৬ বছর আগে বখাটেদের অপমান সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করা সীমা বানু সিমির (২১) বাবার করা আপিল রিভিশন হিসেবে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর মধ্যে দিয়ে বিচারের পথ সুগম হলো বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণসহ আসামিদের করা আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।
আপিল বিভাগ বলেছেন, আপিলকারীর (সিমির বাবা) আপিল রিভিশন হিসেবে বিবেচনা করে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হলো। দায়রা আদালত বা উপযুক্ত আদালতে এর নিষ্পত্তি করতে হবে।
২০০১ সালে বখাটেদের অপমান সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছিলেন সীমা বানু সিমি। ওই ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালত পাঁচজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন এবং একজনকে খালাস দিয়েছিলেন। বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে সিমির বাবা দায়রা আদালতে আপিল করেছিলেন। ওই আপিল দায়রা আদালত গ্রহণ করেন। ১২ বছর আগে দায়রা আদালতের দেওয়া সেই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে (হাইকোর্টে) আবেদন করেছিলেন আসামিরা। ১০ বছর আগে হাইকোর্টের রায়ে আসামিদের আবেদন খারিজ হয়।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণসহ আপিল নিষ্পত্তি করেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
পরে খোন্দকার দিলীরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, এ আদেশের ফলে আসামিদের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সিমির বাবার করা আপিল রিভিশন হিসেবে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে বিচারের পথ সুগম হলো।
নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্রী সীমা বানু সিমি ২০০১ সালের ২৩ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে লিখে যাওয়া চিরকুটের সূত্র ধরে পুলিশ মামলা করেন।
Discussion about this post