কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আলী আশরাফ ৯ কার্যদিবস পর তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেছেন। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শাখা ছাত্রলীগসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে উপাচার্য দপ্তরের তালা ভাঙ্গেন। পরে উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে অনুরোধ করেন। এর আগে উপাচার্যকে অবাঞ্চিত ঘোষণা ও কার্যালয়ে তালা দেওয়ার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ, শাখা ছাত্রলীগসহ পাঁচ শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতি’ নামে কতিপয় বিএনপি-জামাতপন্থি শিক্ষক সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার লক্ষে বিএনপি-জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক সমিতি যে ধরনের অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধেই আমাদের আজকের মানববন্ধন।’
এছাড়াও শিক্ষক সমিতির কতিপয় শিক্ষকের ধারাবাহিক স্বেচ্ছাচারিতা, অযৌক্তিকভাবে উপাচার্য দপ্তরে তালা, ইউজিসি চেয়ারম্যানের সাথে অসাদাচারণ করে সিন্ডিকেট সভায় বাধাপ্রদান, জাতীয় শিশু ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কির প্রতিবাদ জানান মানবন্ধনে উপস্থিত বক্তারা।
তারা বলেন, ‘আমরা আশা করবো শিক্ষক সমিতি খুব তাড়াতাড়ি তাদের এসব অযৌক্তিক আন্দোলন থেকে ফিরে এসে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনবে।’
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘ক্লাস-পরীক্ষা চালু রেখে আমরা আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সোমবার তালা ভেঙ্গে উপাচার্য কার্যালয়ে প্রবেশের পরও আমরা তার দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছি। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লাগাতার আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আলী আশরাফ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালবাসে বলেই আমাকে কার্যালয়ে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে। আমি তাদের সবাইকে সাধুবাদ জানাই। গুটিকয়েক শিক্ষক তাদের অযৌক্তিক কিছু দাবি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলনে লিপ্ত।’
Discussion about this post