ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় বজরাপুর এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছে। বাড়ির ভেতরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। জঙ্গিদের ঘটানো বিস্ফোরণে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে। পুলিশ এই বাড়ির মালিক জহুরুল ইসলাম, তার ছেলে জসিম, ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেন ও তাদের প্রতিবেশী আতিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। জনসাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে বাড়িটির ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একতলা বাড়িটির মালিক জহুরুল ইসলাম লাড্ডু ও ভাজা তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। কিছুদিন আগে তিনি বাড়িটি আলমগীরকে ভাড়া দেয়। আলমগীর বাড়ি থেকে খুব একটা বের হতো না। পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট শনিবার রাত থেকে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। ভেতরে দুই জঙ্গি আত্মঘাতী হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। বাড়ির ভেতর থেকে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, বজরাপুরের পাশাপাশি সদর উপজেলার লেবুতলায়ও একটি পরিত্যক্ত জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মীজানুর রহমান জানান, সিটিটিসির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নাজমুল হাসান, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের এসআই মহসিন আলী ও কনস্টেবল মুজিবুর রহমান আহত হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. ইউসুফ আলী আরও জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় আবু আলীকে খুঁজতে গিয়ে ঝিনাইদহে এই দুই আস্তানার খবর পাওয়া গেছে।
Discussion about this post