বনানীর রেইনট্রি আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা তদন্ত করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তদন্তের অংশ হিসেবে কমিশন ইতোমধ্যে ওই দুই তরুণীর সঙ্গে সেদিনের ঘটনা নিয়ে কথাও বলেছে।
যৌন নির্যাতনের শিকার তরুণীদের একজন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, মানবাধিকার কমিশন তাদের সঙ্গে কথা বলে সেদিনের ঘটনা জানতে চেয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে মিডিয়ায় অনেক কিছু প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও আমরা ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলেছি। আজকেই (সোমবার) আমাদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টা নিয়ে আমরা কথা বলব।’
প্রসঙ্গত, দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ এপ্রিল বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ পূর্ব পরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই শিক্ষার্থীদের জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। ওই দিনই সাফাত তার ড্রাইভার ও দেহরক্ষীকে পাঠিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর রেইনট্রি নামের একটি হোটেলে নিয়ে যায়। রাতের বেলা হোটেলের একটি কক্ষে দুই তরুণীকে আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন ছাড়া পেয়ে দুই তরুণী বাড়িতে ফিরে যান। এরপর সাফাত তার দেহরক্ষীকে বাড়িতে পাঠিয়ে তরুণীদের ভয় দেখায়। প্রথমে ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানালেও পরে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণী মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আসামিরা প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় বনানী থানা পুলিশ প্রথমে তাদের মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
রবিবার (৭ মে) দুই শিক্ষার্থী তাদের ফরেনসিক টেস্টের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে যান। এ প্রসঙ্গে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভিকটিমদের মাক্রোবায়োলজি, রেডিওলজিক্যাল এবং ডিএনএ প্রোফাইলিং পরীক্ষার জন্য আনা হয়। পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন পেতে ১৫/২০ দিন সময় লাগবে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
Discussion about this post