খুলনায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধু রাজিয়া সুলতানা দীপা হত্যা মামলায় স্বামী ও তার সহযোগীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে স্বামী লিটু মোল্লা কারাগারে রয়েছে। তার সহযোগী মজিদ হাওলাদার পলাতক রয়েছে। এদিকে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিশেষ দায়রা জজ এসএম সোলাইমান এই আদেশ দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি যৌতুকের দাবিতে হত্যা করা হয়ে গৃহবধূ রাজিয়া সুলতানা দীপাকে। বেড়ানোর কথা বলে নিহতের স্বামী তাকে খালিশপুর থেকে রূপসার জাবুসা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে শ্বাসরোধ করে দীপাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে এবং তদন্ত শেষে ২০০৯ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি রূপসা থানার উপ-পরিদর্শক মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে নিহতের স্বামী লিটু মোল্লা ও তার সহযোগী মজিদ হাওলাদারকে আসামি করা হয়।
খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আরিফ মাহমুদ লিটন বলেন, ‘আদালতের বিভিন্ন কার্যদিবসে এ মামলার চার্জশিটভুক্ত ২৫ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সবশেষে আজ এ মামলাল রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে নিহতের স্বজনরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত রায় কার্যকর করার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নিহত দীপার বাবা মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘দীপার স্বামী লিটু মোল্লা কারাগারে রয়েছে। এ মামলার অপর পলাতক আসামি মজিদ হাওলাদারকে দ্রুত গ্রেফতার ও অবিলম্বে ঘোষিত এ রায় কার্যকর করতে হবে।’




Discussion about this post