শাহবাগে সিদ্দিকুরের ওপর পুলিশের হামলা ঘটনায় গঠিত ডিএমপি হেড কোয়ার্টারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পুলিশ কমিশনারের কাছে পেশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিদ্দিকুরের চোখে যে পুলিশ কর্মকর্তা খুব কাছ থেকে টিয়ারশেল মেরেছেন প্রতিবেদনে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে । এছাড়া, দু’জন ইন্সপেক্টর ও তিনজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি হেডকোয়ার্টারের যুগ্ম কমিশনার মীর রেজাউল আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি কমিশনার কার্যালয়ে।’ তবে পেশ করা ওই প্রতিবেদনে কী আছে, কয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি তিনি।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএমপি কমিশনার দেশে না থাকায় ওই প্রতিবেদনের খুঁটিনাটি বিষয় কিংবা কোনও কোয়ারি আছে কিনা, তা জানার জন্য কমিশনারের অপেক্ষায় আছেন সবাই।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘সিদ্দিকুরের চোখে যে পুলিশ কর্মকর্তা খুব কাছ থেকে টিয়ারশেল মেরেছেন, তাকে শনাক্ত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়া শাহবাগ থানা ও পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টেন বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছেন। তাদের সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট জমা হলেও রিপোর্টের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার ছাড়া বিস্তারিত জানা সম্ভব নয়।’
এদিকে শাহবাগ বিভাগের অন্য তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিসি মারুফ হোসেন সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ ও কাল (সোম ও মঙ্গলবার) মিলে আরও দুদিনের সময় নেওয়া হয়েছে প্রতিবেদন তৈরির জন্য।’
উল্লেখ্য, পরীক্ষার রুটিন ও তারিখ ঘোষণাসহ কয়েকটি দাবিতে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। পুলিশ তাদের ওই জায়গা ছেড়ে যেতে বললে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুট ওভারব্রিজের পাশের অংশে অবস্থান নেন। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। এসময় গুরুতর আহতদের মধ্যে অন্যতম সিদ্দিকুর রহমান (২৩)। চোখের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে তিনি ভারতের চেন্নাইয়ে অবস্থান করছেন।
Discussion about this post