সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন আদালতে দাখিল করার জন্য সময় ঠিক করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রায়ের সার্টিফাইড কপি যেদিন হাতে পাবে এরপর ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ। এখন ওই কপি পাওয়ার অপেক্ষা চলছে।
রায়ের সার্টিফাইড কপি কবে নাগাদ হাতে পেতে পারেন তা এখনও জানে না রাষ্ট্রপক্ষ। রিভিউ আবেদন করার জন্য এর আগেই রাষ্ট্রপক্ষ প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা চলছে। রায়ের বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা শেষে কোন কোন বিষয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হবে সেই বিষয় ঠিক করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে রিভিউয়ের বিষয়ে দুই রকম মত এসেছে। কেউ কেউ বলেছেন পুরো রায়টি বাতিল চেয়ে আবেদন করার জন্য। তাদের যুক্তি- পুরো রায় বাতিল করার জন্য আবেদন করলে এই রায়ের মাধ্যমে যে নজির তৈরি হয়েছিল সেটি আর ওইভাবে থাকবে না।
কিন্তু যারা এই রায় নিয়ে আদালতে শুনানি করবেন ও কাজ করবেন তারা মনে করছেন পুরো রায় বাতিল চাওয়ার চেয়ে যেসব পয়েন্টে আপত্তিজনক ও অপ্রাসঙ্গিক কথা আছে সেগুলো একপাঞ্জ করার আবেদন করাই যুক্তিসঙ্গত হবে। এতে আদালতের সামনে সুযোগ থাকবে বিষয়টি বড় পরিসরে বিবেচনা করার।
রিভিউ করার আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে রায়ের বিষয়ে কথা বলবেন অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট মাহবুবে আলম। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রায়ের সত্যায়িত কপির জন্য আবেদন করা হয়েছে। রায় পড়া হচ্ছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে রিভিউ আবেদন করা হবে। তিনি বলেন, রায়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা আছে। সেই কথাগুলো রিভিউতে আসবে। সরকার সেজন্য তৈরি হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সরকার যে রিভিউ আবেদন করবে সেখানে অগ্রহণযোগ্য ও অপ্রাসঙ্গিক কথাগুলো তুলে ধরবে। এবং তা বাতিল চাইতে পারে। পুরো রায় বাতিলের আবেদনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পুনর্বিবেচনা শেষ হলেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল।
সরকার ও আওয়ামী লীগ মনে করছে, রায়ের পর্যবেক্ষণে জাতীয় সংসদ সম্পর্কে কটূক্তির পাশাপাশি ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো একক ব্যক্তির কারণে হয় নাই’ এমন বক্তব্যকে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব অস্বীকার করার চেষ্টা করা হয়েছে।
Discussion about this post