জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে ‘পুলিশ অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট’ নামে নতুন একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। সন্ত্রাস মোকাবিলায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল থাকবে এই ইউনিটে। আধুনিক সরঞ্জামের পাশাপাশি সাঁজোয়া যানও থাকবে তাদের হাতে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে পুলিশের ৫২ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। খাগড়াছড়িতে বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে ২০ সদস্যের কমান্ডো প্রশিক্ষণ শেষের দিকে। এর আগে ভারতে পুলিশের ৪০ সদস্য কমান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এসব সদস্যকে পুলিশ অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশ অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট গঠনে স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। সরকারি আদেশ জারি হলে নতুন এই ইউনিট সারা দেশে সমন্বিতভাবে জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। তখন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট নতুন এই ইউনিটের অধীনে থেকে কাজ করবে।
সূত্র জানায়, নতুন এই ইউনিটে ৫৮১ জন জনবল থাকবে। এর নেতৃত্ব দেবেন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয়ভাবে পুলিশ অ্যান্টি টেররিজম নামের এই নতুন ইউনিট গঠনের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি ওঠে। সাম্প্রতিক সময়ের জঙ্গি তৎপরতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা ও কর্মপন্থা নির্ধারণে পুলিশ সদর দপ্তরে বিশেষ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট গঠন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে পুলিশের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তারা জঙ্গি দমনে নতুন ইউনিট গঠনের বিষয়ে একমত হন। এরপর গত বছরের শুরুতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের পর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি ছাড়াও থাকবেন ১ জন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ২ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ৫ জন পুলিশ সুপার, ১০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১২ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ৭৫ জন পরিদর্শক পদের কর্মকর্তা।
Discussion about this post