পৃথক চার মামলায় বিএনপির চার নেতা আগাম জামিন পেয়েছেন। আট সপ্তাহ বা পুলিশ প্রতিবেদন যেটি আগে হয়, সে সময় পর্যন্ত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
চারজনের করা পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওই চার নেতা হলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু।
আদালতে আত্মসমর্পণ করে এই চার নেতা আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন জানান। তাঁদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদিন ও সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।
পরে সগীর হোসেন লিওন গণমাধ্যমকে বলেন, ১০ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ওই দিন পল্টন থানায় তিনটি ও মতিঝিল থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
সগীর হোসেন বলেন, এর মধ্যে পল্টন থানার দুটি ও মতিঝিল থানার একটি মামলায় হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও মতিঝিল থানার মামলায় খায়রুল কবির খোকন, আমানউল্লাহ আমান এবং পল্টন থানার এক মামলায় রফিকুল ইসলাম মজনু ওই সময়ের জন্য আগাম জামিন পেয়েছেন।
Discussion about this post