ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে খালেদা জিয়া আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
টিভি ক্যামরায় নিজের উপস্থিতি জানান দিতে অন্য সময়ের মতো ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন আইনজীবীরা। ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলমের শরীরে লাথি মারেন সুপ্রিমকোর্টের জুনিয়র আইনজীবী মির্জা আল মাহমুদ।
এরপর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। শারীরিকভাবে একে অপরকে লাঞ্ছিত করতে থাকেন। পরে ঢাকা বারের আইনজীবীরা মির্জা আল মাহমুদেরর ওপর চড়াও হন। এতে তার শার্ট ছিঁড়ে যায়। পরে অবশ্য সিনিয়র আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও হাতাহাতি ও টানাটানিতে অনেকের পোশাক ছিঁড়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা জজকোর্টের এসি (প্রসিকিউশন) আমিনুর রহমান জানিয়েছেন, বিএনপির উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থামায়
এর আগে সকালে ১০টা ২৭ মিনিটে জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন খালেদা জিয়া। আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলার শুনানি শেষে ১ লাখ টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলা দুটোয় খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
খালেদা জিয়া লন্ডনে থাকা অবস্থায় ঢাকা ও কুমিল্লার নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তিনমাস লন্ডনে অবস্থানের পর বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।




Discussion about this post