পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল হক হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার (২২ অক্টোবর) মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে মাহতাব উদ্দিনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
পরে বশির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিচারিক আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে হাইকোর্ট মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
এর আগে গত ১৯ মার্চ একরামুল হক হত্যা মামলাটির বিচার বিলম্ব ছাড়াই ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে এই মামলায় বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করা হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর একরামুল হক হত্যা মামলায় মিনার চৌধুরীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি সড়কে বিলাসী সিনেমা হলের কাছে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল হককে (৪৭) প্রকাশ্যে গুলি করার পর গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপির নেতা মিনার চৌধুরীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।




Discussion about this post