নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার চার পুলিশসহ সাত আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে তিন জনের তিন দিন ও চার জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শুনানি শেষে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন আক্তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।তিন দিন করে রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন, উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম ও গাড়িচালক নুরুজ্জামান মোল্লা। দুইদিন করে রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম এবং সহযোগী নূর মোহাম্মদ ও সাদেক মিয়া। নরসিংদী আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. রহুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়ায়েজ আলী করণীর আদালতে সোপর্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে মালয়েশিয়া প্রবাসী নরসিংদীর রায়পুরার হাইরমারা এলাকার সোহেল মিয়া একটি ভাড়া করা গাড়িতে করে চার স্বজনের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। গাড়িটি নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাব এলাকায় একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার জন্য থামে। এসময় একটি মাইক্রোবাস থেকে নেমে উপপরিদর্শক সাখাওয়াত ও আজহার আলীসহ ৪/৫ জন নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রবাসী সোহেলের গাড়িতে অবৈধ মালামাল রয়েছে বলে দাবি করেন। পরে তল্লাশির নাম করে প্রবাসী সোহেলের কাছ থেকে দু’টি স্বর্ণের বার, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেটসহ প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেন।
এ ঘটনা প্রবাসীর স্বজন মো. শাহজাহান লিখিতভাবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান। গোয়েন্দা পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে সিএনজি স্টেশনের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা পান এবং রায়পুরা থানার চার পুলিশসহ অন্য তিন আসামিকে শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দিনগত রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে মো. শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় লুট হওয়া ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার, নগদ ২৯ হাজার ২৫৫ টাকা ও তিন রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।




Discussion about this post