আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ কাশ্মীরে সেনা সদস্যদের গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছে। রবিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে শোপিয়ান এলাকার একটি চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নতুন করে কাশ্মীরে উত্তেজনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোকজনের চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পুরো দক্ষিণ কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও রেল সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে আজ সোমবার সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া আজকের যাবতীয় পরীক্ষা স্থগিতের পাশাপাশি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, শোপিয়ান এলাকার ওই সামরিক চেকপোস্টে একটি গাড়িকে থামার ইঙ্গিত দিলে না থামায় গুলি চালায় সেনা সদস্যরা। এতে একটি গাড়িতে থাকা একজন এবং অন্য গাড়িতে থাকা চারজনের মৃত্যু হয়।
সেনাবাহিনী বলছে, তারা মনে করছে, প্রথমজন সন্ত্রাসী, আর বাকিরা তার সহযোগী। কিন্তু স্থানীয়রা বলছে, তারা বেসামরিক লোক।
নিরাপত্তা বাহিনী যাকে সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করেছে তার নাম শহীদ আহমদ দার। তিনি শোপিয়ানের বাসিন্দা ছিলেন। তার সঙ্গে একটি অস্ত্র ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, চলতি বছর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সেনাবাহিনী বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি চালাল। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে জানুয়ারি মাসে একটি বিক্ষোভ মিছিলে সেনা সদস্যদের চালানো গুলিতে তিন বেসামরিক লোক নিহত হয়। ওই ঘটনায় কাশ্মীরজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ এ পর্যন্ত রোববারের ঘটনায় কোনো এফআইআর করেনি। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, লেজিসলেটিভ মেম্বার অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ ইউসুফ ভাট রবিবারের ঘটনার নিন্দা এবং বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা বন্ধ করতে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
Discussion about this post