রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্পের ভেতরে বেআইনিভাবে নির্মাণ করা ১৬তলা বিশিষ্ট বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৪ মার্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য সময় চেয়ে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে পোশাক রফতানিকারকদের এই সংগঠনকে ৭ মাস সময় বাড়িয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। সে হিসেবে আগামী ১১ এপ্রিল আদালতের বেঁধে দেয়া সময় শেষ হবে।
রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর গত বছরের মার্চে বিজিএমইএর আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ছয় মাস সময় দিয়েছিল, যা শেষ হয় গত ১২ সেপ্টেম্বর। এরপর থেকেই নতুন করে ৭ মাস গণনা শুরু হয়।
জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত বিজিএমইএ ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যান্সার’ মন্তব্য করে সেটির নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা এবং ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেয়া ওই রায় আপিলেও বহাল থাকে। পরে বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
রায়ের পর কার্যালয় সরিয়ে নিতে বিজিএমইএ তিন বছর সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তাদের ছয় মাসের মধ্যে সে কাজ শেষ করতে বলে। সেই ছয় মাস সময় শেষ হওয়ার আগে আগে আরও এক বছর সময় চেয়ে গত বছরের ২৩ অাগস্ট আবেদন করে বিজিএমইএ।
Discussion about this post