জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার সাজা বাড়ানোর জন্য আবেদনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীরা। আজ রোববার এ আপিল আবেদন দায়ের করা হবে।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান আপিল আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা আপিলের পুরো প্রস্তুতি নিয়েছি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আপিল প্রস্তুত করা হয়েছে। আপিল ফাইল করার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৯ মার্চ (সোমবার) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে। পরে এ বিষয়ে পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়েছি। খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হবে। মামলায় প্রধান আসামির (খালেদা জিয়া) সাজা কম হয়েছে অথচ অন্যান্য আসামির সাজা হয়েছে ১০ বছর।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বয়স বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই মামলায় অন্যদের সাজা দেয়া হয়েছে ১০ বছর। খালেদার সাজা বাড়িয়ে কত বছর চাওয়া হবে জানতে চাইলে খুরশিদ আলম খান বলেন, এখনো এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে, আইনে ৪০৯ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন হওয়ার বিধান রয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাইকোর্টের দেয়া জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আপিলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিপক্ষকে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দেয়ার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আপিলের শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রমকারাদণ্ড দেয়া হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি কারাদণ্ডের রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
জাগো নিউজ
Discussion about this post