ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, কোটার সঙ্গে আমার কোনো সংযোগ নেই। এর পরও আমার বাসায় যে তাণ্ডব হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সেখানে আমার পরিবারের জীবনও ঝুঁকিতে ছিল। সবাইকে মেরে ফেলার চেষ্টা ছিল। কিছু ছাত্র আমার প্রাণ রক্ষা করেছে। এখানে লাশের রাজনীতি ছিল।
আজ সোমবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, আমি উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের কোটার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য তাদের জানানো হয়েছে। এখানে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে এ হামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারত। আন্দোলনরত ব্যক্তিরা ৪০-৪৫ মিনিট চেষ্টার মাধ্যমে দরজা ভেঙেছে। আমি নিজের নিরাপত্তার কথা ভুলে শিক্ষার্থীদের অবস্থা দেখার জন্য বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছিলাম। এ জন্য বেঁচে গেছি। বেডরুমে থাকলে আমি মারা যেতাম।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে আখতারুজ্জামান বলেন, আইন নিজের গতিতে চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা রবিবার গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। পরে বাসভবনের সামনে রাখা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা।
রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতর তছনছ ও ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
বাসভবনের শোবারঘর থেকে বাথরুম, রান্নাঘরসহ সবখানে তারা ভাঙচুর চালান। সেই সময় তারা বাসভবনের সামনে আগুন ধরিয়ে দেন।
Discussion about this post