নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না থাকায় ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ ও ‘বায়ো ম্যানুয়াল টেস্ট’ বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) পাঁচ বছর আগের এক রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সহিদুল হক এই রায় দেন।
রায়ে আদালত বলেছে, ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে তথাকথিত ওই পরীক্ষার আইনি বা বিজ্ঞানসম্মত কোনো ভিত্তি নেই।
ওই পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়ে অধিকারকর্মীরা বলে আসছিলেন, দুই আঙ্গুলের ‘অযৌক্তিক’ ওই পরীক্ষা ভিকটিমকে আবার ধর্ষণ করার শামিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী গতবছর বাংলাদেশ সরকার যে হেলথ প্রটোকল করেছে, রেপ ভিকটিমদের পরীক্ষা ও ভার্জিনিট টেস্ট করতে হবে সেই বিধি মেনে।
২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ নামে ছয়টি পৃথক সংগঠন এবং দুজন ব্যক্তি ধর্ষণের শিকার নারীর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা এই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ অক্টোবর হাইকোর্ট ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের ডাক্তারি পরীক্ষা-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত টেস্টটি নিষিদ্ধ করে রায় দিলেন।
Discussion about this post