সাঈদ চৌধুরী: বাজারে একই গ্রুপের ওষুধের দামে ভিন্নতা সম্পর্কে কতজন মানুষ জানে? ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে লিখে দিচ্ছে মানুষ ওষুধ কিনে নিচ্ছে। বেশির ভাগ মানুষ এখনও জানেনা একই গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানি ওষুধ তৈরী করে। মানুষ এই গ্রুপের ব্যপারটি সম্পর্কেও এখনও অবগত নয়। সেখানে কিভাবে জানবে যে একই ওষুধের দামেও ভিন্নতা থাকতে পারে। বাজারে এজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের ওষুধের দামের ভিন্নতা দেখলাম গতকাল। জিম্যাক্সের দাম (500) 35 টাকা এবং এই একই গ্রুপের ওষুধ এজিথ(500) এর দাম 55 টাকা। একই গ্রুপের ওষুধের দামের এত ভিন্নতা কিন্তু বড় প্রশ্নের কারণ। মানের কারণে দাম বেশী কম ওষুধের ক্ষেত্রে কখনই গ্রহনযোগ্য নয়। একই উপাদানে ওষুধ তৈরী হলে দামের এ ভিন্নতা শুধু ভাববারই বিষয় নয় প্রশ্নেরও বিষয়।
সাধারণ একজন মানুষকে ডাক্তার কি ওষুধ দিল, কোন ওষুধ খেলে সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে এটাতো একজন মানুষের যাচাই বাছাইয়ের কোন সুযোগ নেই। একটি ওষুধের দাম বিশ টাকা পর্যন্ত বেশী এই গ্রুপের ক্ষেত্রে তবে অন্য কোন গ্রুপের ক্ষেত্রে আরও বেশীও থাকতে পারে।
এই বিষয়টি কি ভোক্তা অধিকারের ক্ষেত্রে কোন সমস্যার কারণ নয়? ভোক্তা কেন একই উপাদানে তৈরী একই মানের জিনিস শুধু কোম্পানি ভিন্নতার কারণে বেশী দাম দিয়ে কিনবে?
ওষুধ মানব স্বাস্থের জন্য সবচেয়ে স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এ ব্যপারে মানের দিক যেমনি খেয়াল রাখতে হবে তেমনি দামও একটি বড় বিষয়। শুধু তাই নয় বাজারে নকল ওষুধের যে কথা বলা হয় তা জনপ্রিয় ওষুধগুলোর জন্য বেশী পরিলক্ষিত। সবদিক বিবেচনায় ওষুধের মান এবং দাম এক ধরণের না হলে সার্বিকভাবেই এটি প্রশ্নেরই কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ওষুধ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা ভোক্তা অধিকারের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
লেখক: শ্রীপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য।
Discussion about this post