বিডি ল নিউজঃ ট্যাক্স, ভ্যাট ইত্যাদি না তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। জরিমানা করা যায়, সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে রাখা যায়। কিন্তু, তা না করে ময়লা ফেলে বেকায়দায় ফেলার ঘটনা হয়তো এটাই প্রথম। কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় একটি তারকামানের হোটেলের সামনে ডাস্টবিনের ময়লা ফেলল কক্সবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১টায় পৌর কর্তৃপক্ষের একটি ডাস্টবিনের ময়লাভর্তি ডাম্পার এসে কলাতলী এলাকার একটি তারকামানের হোটেলের সামনে আবর্জনা গুলো ফেলে দেয়। একই সময় পার্শ্ববর্তী আরও তিনটি হোটেলের সামনে একই কায়দায় ময়লা ফেলা হয়। হোটেলের মূল ফটকে আবর্জনা ফেলার কারণে পুরো হোটেলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পর্যটকেরা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে অনেক পর্যটক হোটেল থেকে বের হয়ে যায়। অনেকে নাক চেপে ধরে চলাচল করে।
পর্যটকেরা জানান, এটা কোন ধরণের কাজ। হোটেলে কেন পৌরসভার ময়লা ফেলবে। এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার কর্মচারি স্বপন জানান, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে ময়লা গুলো ফেলা হয়েছে। আমরা হুকুম পালন করেছি। এর বাইরে অন্যকিছু জানি না। ময়লাগুলো ফেলার সময় পৌরসভার এক কর্মচারি হোটেলের লোকজনকে বলেন, হোল্ডিং টেক্স না দেওয়ায় মেয়র ময়লা ফেলতে বলছেন।
এদিকে তারকামানের হোটেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের হোল্ডিং টেক্স থেকে শুরু করে সবকিছু দেওয়া আছে। তারপরও যদি কিছু বাকি থাকতো তাহলে নোটিশ দেওয়া যেত। কিন্তু পর্যটন মৌসুমে হঠাৎ পৌর কর্তৃপক্ষের এই ধরণের আচরণ মেনে নেওয়ার মতো নয়। এরফলে পর্যটকদের মধ্যে বিরুপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকদফা নোটিশ দেওয়ার পরেও অনেক হোটেল ভ্যাট দেয়নি। এতে পৌরসভা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভ্যাট না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে ময়লা ফেলা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রায় তিনঘন্টা পর ময়লাগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।
তবে নোটিশ না দিয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়াটা আইনসম্মত নয়। তাই, কোন শাস্তি দেওয়ার আগে অবশ্যই আসামীকে বা অভিযুক্তকে ওয়ার্নিং দেওয়া উচিত। এতে ঝামেলা অনেক সুন্দরভাবেই সমাধান হয়ে যায়।
Discussion about this post