বিডি ল নিউজঃ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ, জাতীয়করণকৃত প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের টাইম স্কেল বাতিলে ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টসের (ডিসিএ) গত ২৬ এপ্রিলের আদেশটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টসের কার্যালয়কে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ ও ব্যারিস্টার জহির উদ্দিন বাবর তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা সুমা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে ব্যারিস্টার জহির উদ্দিন বাবর বলেন, গত ২৬ এপ্রিল ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টসের (ডিসিএ- ঢাকা) কার্যালয় থেকে ডেপুটি ডিভিশনাল কন্ট্রোলার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, নিম্ন পদ (সহকারী শিক্ষক) ও উচ্চ পদ (প্রধান শিক্ষক) চাকরির সমষ্টির (৫০ শতাংশ) ভিত্তিতে টাইম স্কেল প্রাপ্য নয়।
কিন্তু জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি বিধিমালা, ২০১৩ এর ২ (গ) এবং ৯ (১ ও ৩) অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকগণ চাকরির সমষ্টির ভিত্তিতে টাইম স্কেল প্রাপ্য বলে জানান আবুল কালাম আজাদ। যার প্রেক্ষিতে চাকরি বিধিমালা অনুসারে প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকরা ২০১৩ সাল থেকে টাইম স্কেল সুবিধা পেয়ে আসছে। এরপরেও ডিসিএ’র ওই বিতর্কিত চিঠির কারণে জেলা ও উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিস প্রধান শিক্ষকদের বেতন-ভাতা অনুমোদনে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় ওই ডিসিএ’র গত ২৬ এপ্রিলের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেরার হারুণুর রশিদ আকন্দ, মো. হাবিবুর রহমান, হালুয়াগাট উপজেলার নবী হোসেন, গফরগাঁও উপজেলার জহিরুল ইসলাম ও ত্রিশাল উপজেলার মাজহার হোসেনসহ ১০৮ জন প্রধান শিক্ষক রিটটি দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।
Discussion about this post