বিডি ল নিউজঃ আজ বুধবার (১৬ মে) দুপুরে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ৩৫তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের শিক্ষানবীস সহকারী পুলিশ সুপারদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে চলা নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখতে চাই, আমাদের দেশের জনগণ পুলিশের কাছ থেকে যথাযথ সেবা পাচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে আমরা একটি চৌকস, পেশাদার ও জনবান্ধব পুলিশ সার্ভিস গড়ে তোলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ বিপদের সময় পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য আসে। তাই সেবা ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট থাকবেন।’ বিশ্বব্যাপী অপরাধের ধরন দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নিত্যনতুন অপরাধ দমনে পুলিশ সদস্যদের আরও তৎপর বিশেষ করে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে আরও দক্ষ হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী একাডেমির অতিথি ভবন অরুনিমায় পৌঁছালে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। পরে প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মহাপুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী এবং একাডেমির প্রিন্সিপাল মো. নাজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের মধ্যে পদকও বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী নতুন কর্মক্ষেত্রে নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে তাঁদের সমাজের নারী, শিশু ও প্রবীণদের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূলে জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ গঠনে আপনাদের অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, আপনারা দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে নিয়োজিত থাকবেন।
দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে উন্নয়নকে টেকসই করতে পুলিশের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, বাংলাদেশ পুলিশের নবীন কর্মকর্তারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রশিক্ষণের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দ করা অর্থকে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করছে। শেখ হাসিনা জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন বাংলাদেশকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবরে নৃশংসভাবে হত্যা করে। শুরু হয় বাংলাদেশের উল্টোপথের যাত্রা। পাকিস্তানি দোসর ও স্বাধীনতা বিরোধীরা চেয়েছিলো জাতির পিতার স্মৃতিকে মুছে ফেলতে। এ দেশের মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে। তারা দুধশাসন, বঞ্চনা ও বিচারহীণতার মাধ্যমে এ দেশের গনতনন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো। সে ষড়যন্ত্র আজো থেমে নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমরা সচেতন জনগনকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যনন্ত্র বরাবর রুখে দিয়েছি। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সর্বদায় বাংলাদেশ পুলিশ সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে।
জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ সারাবিশ্বের সমস্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দক্ষতার সঙ্গে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রনে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের অব্যাহত সাফল্য শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এ দেশের মাটিতে জঙ্গী, সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের আর স্থান হবে না বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা, জননিরাপত্তা বিধান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমন, গনতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধন পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ^ব্যাপী অপরাধের ধরন দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। নিত্য নতুন অপরাধ দমনে পুলিশ বাহিনীকে আরো সচেস্ট হতে হবে। আরো দক্ষ হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে পুলিশের আধুনিকায়নে কাজ করে চলেছি। তিনি বলেন ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশে ৫০ হাজার জনবল সৃজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইতোমধ্যে ৪৬ হাজার পদ সৃজন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় যানবাহন ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, নতুন নতুন ইউনিট গঠন অব্যাহত রয়েছে। ইতমধ্যে রংপুর রেঞ্জম রংপুর আরআরএফ, ময়মনসিংহ রেঞ্জ, নারী আর্মম পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ১২ আমর্ড পুলিশ ব্যাটলিয়ন গঠনসহ নতুন নতুন থানা, ফাড়ি ও তদন্তকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। গাজিপুর ও রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ গঠন করা হয়েছে। জঙ্গী ও সন্ত্রাস নির্মূলে এন্টি টেরিরেজম ইউনিট গঠন করা হয়েছে। ইন্ড্রাট্রিয়াল পুলিশ ইউনিট গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিশেসায়িত পুলিশ ইউনিপ যেমস, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং দুটি স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করতে ‘গার্ড এন্ড প্রটেকশন পুলিশ’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসআই/সার্জেন্ট পদকে তৃতীয় শ্রেণী হতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ইন্সপেক্টর পদকে প্রথম শ্রেণি পদে উন্নীত করা হয়েছে। জাতির পিতা প্রদত্ত আইজিপি র্যাঙ্ক ব্যাজ পুন প্রবর্তন করে আইজিপি পদকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে।
এছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বিশেয়ায়িত ট্রেনিং সেন্টারসহ সারাদেশে ৩০টি ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন দেশে আরও ৪টি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। কনস্টেবল হতে এসআই পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য ঝুঁকি ভাতা প্রবর্তন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল স্তরের পুলিশের জন্য তা বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশের সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌছে দিতে জাতীয় জরুরী সোব ৯৯৯, ডিবি পুলিশ হেল্প লাইন ও অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পুলিশের বিভিন্নস্তরে নারীদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ট্রাফিক সার্জেন্ট পদেও নারীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা সর্বপ্রথম পুলিশে নারীদের নিয়োগ দেন স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা পুলিশের আবাসন, রেশন, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি, উন্নত প্রশিক্ষণ, লজিস্টিক, যানবাহন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিরা বলেন, আমরা ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও জনমানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুত ও জ্বালনি, বৈদেশিক নীতি ও সম্পর্ক, গ্রামীণ ও নগর অবকাঠামো, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক নিরাপত্তাসহ প্রতিটি সেক্টরেই আজ কাঙ্খিত লক্ষ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ উত্তরণ আমাদের সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফসল। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন করেছি। তিনি দৃঢ বিশ্বাস পোষন করে বলেন, উন্নয়নের এ অভিযাত্রা অব্যাহত থাকলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমারা সক্ষম হব।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে চৌকস, পেশাদার, দক্ষ ও জনবান্ধব পুলিশ সার্ভিস গঠনে আমরা দৃঢ প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষে আমরা পুলিশকে আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ করাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদার সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করছি। প্রশিক্ষণের গুণগতমান বজায় রাখতে এ একাডেমিতে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য শ্রেণীকক্ষ, মাঠ ও আবাসনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত আরও উন্নয়নের প্রয়োজনের কথাও বলেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশ একাডেমিকে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কার, জনবল বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় যানবাহন, সরঞ্জামাদি ও লজিস্টিক সরবরাহ অব্যাহত রেখেছি। যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তাবিত একাডেমি সংলগ্ন পদ্মা নদী তীরবর্তী অতিরিক্ত ১০০ একর খাস জমি বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, একাডেমির আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব, ল্যাংগুয়েজ ল্যাব, ফরেনসিক ডেমোনেস্ট্রেশন ল্যাব, ড্রাইভিং ও শুটিং সিমিউলেটর যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। পুলিশের সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নয়ন করা সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের অহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আপনারা মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। মানুষ বিপদের সময় পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য আসে। তাই সেবা ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট থাকবেন। দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূলে জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ গঠনে আপনাদের অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।
মাদকের করাল গ্রাসে আমাদের তরুণ সমাজ আজ বিপদাপন্ন। এই ভয়াল থাবা থেকে সমাজকে বাঁচাতে হবে। মাদক সেবনকারী, ব্যবসায়ী, উৎপাদক, সরবরাহকারী সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জনগনকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের পুলিশ যেমন জঙ্গি দমনে সফল হয়েছে, তেমনি মাদক থেকে আমাদের তরুণ সমাজকে রক্ষায় সফল হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে উন্নয়নকে টেকসই করতে চাই। এ ক্ষেত্রে পুলিশের ভুমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা করে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নবীন কর্মকর্তারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে বেলা ১১.২০ মিনিটে সারদায় পৌছেন। পরে তিনি সারদার ঐতিহাসিক প্যারেডপ্রাউন্ডে উপস্থিত হন। এরপর তিনি ৩৫তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের শিক্ষানবীস সহকারী পুলিশ সুপারদের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তিনি ভাষন দেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, ভূমিমন্ত্রী সামশুর রহমান শরফি ডিলু, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রমানিক এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারি, রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমীর অধ্যক্ষ নাজিবুর রহমান এনডিসি, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর- রহমান, ফারুক চৌধূরী এমপি, বেগম আক্তার জাহান এমপি, আয়েন উদ্দিন এমপি, এনামুল হক এমপি ও রাজশাহী নগর ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
Discussion about this post