বিডি ল নিউজঃ একে তো বছরে দুইবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা থাকলেও নিচ্ছে প্রায় আড়াই থেকে তিন বছরে একবার, তার উপর লিখিত পরীক্ষায় মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়াটা মোটেও মেনে নিতে পারছে না বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থী। তারা তাদের লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনরায় বিবেচনা দাবী জানিয়েছে। বার কাউন্সিলের সামনে রোববার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। কর্মসূচিতে অবস্থানকারীদের দাবি, তারা খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাই এই কর্মসূচি হাতে নেয়ার আগে তারা নিয়ম অনুযায়ী খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন করেছেন।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ছাড়াও লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনঃমূল্যায়নের বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। যদিও তারা কোন লিখিত কপি দেখাতে পারেননি। এর আগে গত ২৪ মে বিকেলে বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে ৮ হাজার ১৩০ জন শিক্ষানবিশ আইনজীবী লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হন। এছাড়া ২০৮ জন পরীক্ষার্থীর খাতা থার্ড এক্সামিনারের (তৃতীয় বিচারের জন্য) সিদ্ধান্তের জন্য তাদের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়।
এবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১১ হাজার ৮৪৬ পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার প্রায় ৮ মাস পর এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা তিন ধাপে হয়ে থাকে। প্রথম ধাপে একজন শিক্ষার্থীকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে হয়। প্রিলিমিনারিতে যারা পাস করেন তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। লিখিত পরীক্ষায় যারা পাস করবেন তারা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। এরপর আইনজীবী তালিকাভুক্তির চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
Discussion about this post