নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্তে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তারপরও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম পরে রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হতে শুরু করেন তারা। বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে পঞ্চমদিনের মতো মাঠে নেমেছে এই শিক্ষার্থীরা।
রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, ফার্মগেট এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে চালকের লাইসেন্স ও গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কি না তা পরীক্ষাও করছেন। যদিও সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে।
এদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় বসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এসময় পাশেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।
তবে পুলিশ সদস্যরা বলছেন, তারা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থীরা কোনো যানবাহনে হামলা করছে না।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। নিহতরা হলো দিয়া খানম মীম ও আব্দুল করিম। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। তারা জাবালে নূর পরিবহনের ওই বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় ও শতাধিক বাস ভাঙচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ ও নৌপরিবহনমন্ত্রীর অনৈতিক বক্তব্যের প্রতিবাদসহ ৯ দফা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। গত চার দিন ধরে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। বুধবার (১ আগস্ট) বিকালে বাস মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) রাজধানীসহ সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণার কথা জানানো হয়।
Discussion about this post