আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে গৃহবন্দি থাকা মার্কিন ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসনের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে দেশটির উচ্চ আদালত। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক সম্পর্ক চরমে পৌঁছালেও পিছু হটেনি তুরস্কের আদালত।
দেশটির উচ্চ আদালত বলছে, ব্রানসনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার এবং গোয়েন্দাগিগির অপরাধের যথেষ্ট প্রমান পাওয়া গেছে, এরপরই সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে একই রায় দিয়েছিল দেশটির একটি নিম্ন আদালত।
উচ্চ আদালতের এই রায়ের পর ব্রানসনের আইনজীবী বলেছেন, তিনি ১৫ দিনের মধ্যে আবারও ব্রানসনের মুক্তির জন্য আবেদন করবেন।
সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, মার্কিন এই ধর্মযাজককে ২০১৬ সালের ক্র্যাকডাউনের সময় গ্রেফতার করা হয়। তখন একটি ব্যার্থ সেনা অভ্যূত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। সেই অপরাধের অভিযোগে গত সপ্তাহে তাকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
দুই দেশের মাঝে চলা কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের মাঝেই দেশটির আদালতের এই ঘোষণা এলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশই পাল্টাপাল্টি ট্যাক্স বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এবং তাকে মুক্তি না দিলে আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়ে রেখেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভেন মাচিন বলেছেন যে, আমরা ইতোমধ্যেই তাদের কয়েকজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। যদি ব্রানসনকে মুক্তি দেয়া না হয় তাহলে এই নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়বে।
Discussion about this post