নিজস্ব প্রতিবেদক: নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় গ্রেফতারকৃত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন সিএমএম আদালত। গ্রেফতারকৃত অন্য শিক্ষার্থীদের জামিনের বিষয়ে আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো একজন এবং ঢাকা মহানগর হাকিম একেএম মঈনুদ্দিন সিদ্দিকী ১৫ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- রিসালাতুন ফেরদৌস, রেদোয়ান আহম্মেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, তরিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান, আজিজুল করিম অন্তর, সামাদ মর্তুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ উল্লাস, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম ও আমিনুল এহসান বায়েজিদ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী কবীর হোসেন, জ্যাতির্ময় বড়ুয়া, আক্তার হোসেন জুয়েল সহ আরও অনেকেই জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
এর আগে গত ১২ আগষ্ট ৪ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন। এরপরের দিনেও আবার ৮ আসামির জামিন আবেদন করলে সেটায় নামঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৯ আগষ্ট ওই চার আসামিসহ ২২ আসামিকের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে ১৪ জন বাড্ডা থানার এবং শেষের ৮ জন ভাটারা থানার মামলার আসামি এবং বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ৫১টি মামলায় ৯৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে ৫২ জন শিক্ষার্থী।
এ ছাড়া এজাহারে নাম থাকায় পলাতক আছেন ছয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ শিক্ষার্থী। তারা ২১টি স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র।
Discussion about this post