নিজস্ব প্রতিবেদক: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে কোনো প্রকার উসকানি বা অপপ্রচার চালালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে প্রচার চালায় তা বন্ধ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক এক সভায় তিনি এ হুশিয়ারি দেন।
পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের লক্ষ্যে কেউ যাতে কোনো ধরনের গুজব ছড়াতে বা অপপ্রচার চালাতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করতে নির্দেশ দেন আইজিপি।
দুর্গাপূজার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে’ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি তিনি প্রতিমা তৈরির সময় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপনী ব্যবস্থা রাখা এবং হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের জন্য পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, “সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের মত এবারও দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।”
আগামী ৮ অক্টোবর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১৬ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দুর্গার বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে মূল পূজা। ২০ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে।
এ বছর সারাদেশে ৩০ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ থাকবে। আর ঢাকা মহানগরে থাকবে ২৩০টি মণ্ডপ। দেশজুড়ে পূজামণ্ডপগুলোতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মোতায়েন থাকবেন এক লাখ ৭০ হাজার আনসার সদস্য।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এক সভা শেষে জননিরাপত্তা সচিব মো. মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ‘আপত্তিকর’ কিছু কারও চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় হেল্পডেস্ক ৯৯৯ -এ ফোন করতে জানাতে অনুরোধ করেন।




Discussion about this post