নিজস্ব প্রতিবেদক: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে আবার অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনেককে কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় শুয়ে থেকে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে।
আজ শনিবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টায় আন্দোলনকারীরা প্রথমে শাহবাগে জড়ো হয়।
এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিলসহ শাহবাগ থেকে প্রেসক্লাবে যায়। সেখান থেকে ঘুরে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসে বসে পড়ে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছরে সীমাবদ্ধ রাখায় এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে খুব খারাপভাবে প্রভাব ফেলছে। যে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় সে তার দেশকে কী দেবে?
যতক্ষণ পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত না হবে ততক্ষণ তারা রাস্তায় শুয়ে থেকে এই প্রতিবাদ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের প্রত্যেকের হাতে ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
সংগঠনটির আহ্বায়ক সঞ্জয় দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে আসছি। সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে আমাদের এই দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন করছি। আমরা ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই দাবি নিয়ে দেখা করেছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বর্তমান সরকার অতি শিগগির আমাদের এই দাবি মেনে নিয়ে আবারও প্রমাণ করে দেবে- দেশে এখনো অহিংস পদ্ধতিতে দাবি আদায় করা সম্ভব।’
সঞ্জয় দাস বলেন, ‘আমরা আজ থেকে শাহবাগের রাস্তায় বসে থাকবো। যতদিন আমাদের দাবি আদায় না হবে তত সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে আসা শিক্ষার্থীরা বলছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছরই করতে হবে।
এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেছিলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যে সুপারিশ করা হয়েছে অবশ্যই যৌক্তিক। আমরা কাজ করে যাচ্ছি এ বিষয়ে নীতিনির্ধারকরা ভালো বলতে পারবেন।’ তবে চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাবনা এখন কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
Discussion about this post