নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রতিথযশা আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করাটা নজিরবিহীন ঘটনা। গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারের আন্দোলনকে ব্যহত করতেই এ গ্রেফতার। নির্বাচন সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী এটা চূড়ান্ত ক্র্যাক ডাউন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, তাছাড়া ব্যারিস্টার মইনুল জামিনে ছিলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন ব্যক্তিও। শুধুমাত্র অপশাসনের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলাটাকেই অপরাধ হিসেবে গন্য করছে সরকার। রাতে কোর্ট বসিয়ে পরোয়ানা জারি করে সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশে যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা সকলের কাছে পরিষ্কার। কারণ গতকাল প্রধানমন্ত্রী যখন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন মইনুল হোসেন একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আরও মামলা করেন বাকিটা আমরা দেখছি। এ ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পরোয়ানা জারি করে তাকে গ্রেফতার করা হলো।
তিনি বলেন, মানহানি মামলায়তো প্রথমেই পরোয়ানা নজির নেই। প্রথমে সমন জারি করে আসামি পক্ষের বক্তব্য নেয়া হয়। আসামি পক্ষ উপস্থিত না হলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতার সম্পূর্ণ বে আইনি। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মুক্তি দাবি করছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের জনগণ যেন সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এক অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামে ভয়ার্ত দিন কাটাচ্ছে। সারাদেশটাকে ভুতুরে বাড়িতে পরিণত করা হয়েছে। লাশের পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান। কিন্তু মানুষ আরতো বেশি দিন চুপ করে বসে থেকে শুধু আহাজারি করবে না। মৃত্যু ভয় জয় করে গণতন্ত্রের নির্ভয় সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে সকল শক্তি নিয়োগ করবে। বর্তমান দুঃশাসনের অবসান সময়ের ব্যাপার মাত্র।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে সময়মতো নির্বাচন হবে। বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ বহাল থাকবে। যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলার ক্ষমতা আওয়ামী লীগ ও সরকারের আছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার তিনি সুষ্ঠু ও সব দলের অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন চান না, গায়ের জোরে নির্বাচন করতে চান। জোর করে ক্ষমতাকে আকঁড়ে ধরে রাখতে চান। এ সরকারের আমলে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, হবেও না। আমি পরিস্কার বলে দিতে চাই আরেকটি একতরফা নির্বাচন হবে না, এদেশের মানুষ হতে দিবে না। সিটি নির্বাচনের স্টাইলে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
Discussion about this post