নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘যেমন ইলেকশনের ব্যাপারে আইন পরিবর্তনের সুযোগ নেই, এ মুহূর্তে সড়ক পরিবহন আইন পরিবর্তনেরও কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রবিবার রাজধানীর সেতু ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমনটি জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই মুহূর্তে আইন পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। পরবর্তী পার্লামেন্ট পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে। একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করবেন, এর মধ্যে কোনো ন্যায়সংগত বিষয় থাকলে পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে বিবেচনা করা হবে। এই মুহূর্তে বলতে চাই ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন, মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো লাভ নেই।
তিনি বলেন, দেখুন না, ধর্মঘটের পরিণতি সময় গড়াতে গড়াতে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। তবে এ মুহূর্তে তো আইন পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে সকাল থেকেই সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছেন। ফলে সারা দেশে বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো থেকে কোনো গন্তব্যের বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে শহর এলাকার বিভিন্ন রুটের বাস।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তবে বাস না পাওয়ায় নারী ও বয়স্কদের পড়তে হয়েছে বেশি ভোগান্তিতে।
নিরাপদ সড়ক আইনে বলা আছে, বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ গুরুতর আহত বা নিহত হলে মামলা হবে দণ্ডবিধির ৩০৪(খ) ধারায়। এ ধারায় সাজা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। বর্তমানে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে।
এছাড়া এই মুহূর্তে ঐক্যফ্রন্টের দাবি মেনে নেয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট হা-হুতাশ করছে, অপজিশন তো একটু ক্রিটিক্যাল হবেই। অপজিশনের কাজই হলো ক্রিটিসাইজ করা। তারা সাত দফা দাবি দিয়েছে। এখন সাত দফা মেনে নিতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। যা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব না। কাজেই এই দাবির ব্যাপারে তারা যদি স্ট্রাইক করেন, অনড় থাকেন তাহলে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, যেখানে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে, যেটা তাদের দরকার একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, এছাড়া নতুন করে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে সকল দলের প্রতিনিধিকে নিয়ে ইলেকশন কমিশন গঠিত হয়েছে। কাজেই এটা পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও যদি পরিবর্তন চায় তাহলে আসলে ইলেকশন চায় কি না সেটাও আমাদের বড় প্রশ্ন। এবং সাত দফার মধ্যে যে দাবি আছে সেগুলো এই মুহূর্তে মেনে নেয়া সম্ভব নয়।




Discussion about this post