নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ‘জনগণ এ রাষ্ট্রের মালিক’-এ ধারণা সুপ্রতিষ্ঠিত করার নির্দেশনাসহ ইশতেহারে নানা মত ও পথ নিয়ে বাংলাদেশকে একটি রেইনবো ন্যাশন বা রংধনু জাতিতে পরিণত করার বিস্তারিত ঘোষণা থাকবে। এছাড়া, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও স্বঅবস্থান-এ তিন অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে নবধারার রাজনীতি ও সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি থাকছে ইশতেহারে। থাকছে নতুন নতুন চমক ও অঙ্গীকার।
সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
জেলে যাওয়ার আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন ২০৩০-এর আলোকেই তৈরি করা হয়েছে এ ইশতেহার।
ইশতেহারে সরকার, সংসদ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, কৃষি, পররাষ্ট্রনীতিসহ সরকারের প্রতিটি সেক্টরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আলাদা আলাদা পরিকল্পনা ও ভাবনাগুলো সুচিন্তিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
১১ মে ২০১৭ সালে খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০’র ঘোষণা কল্পিত রেইনবো নেশনের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘শরতের আকাশে সাতটি রঙের বিচিত্র প্রভা নিয়ে রংধনু যেভাবে মনোরম সৌন্দর্যের বিচ্ছুরণ ঘটায়, আমরা চাই সব মত ও পথকে নিয়ে এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি লালন ও পরিপুষ্ট করতে যে সংস্কৃতি বাংলাদেশকে একটি রেইনবো নেশনে (রংধনু জাতিতে) পরিণত করবে।’
উল্লেখ্য, এই ‘রংধনু জাতি’র তত্ত্ব নিয়ে এসেছিলেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেলসন ম্যান্ডেলা। এই তত্ত্বের আলোকেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দীর্ঘসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বর্ণবাদ দূর করেছিলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও এমন একটি রূপরেখা আজ জাতির সামনে তুলে ধরবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার প্রণয়নে যে কমিটি করা হয়েছে, তাতে বিএনপি থেকে সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, গণফোরামের আওম শফিকউল্লাহ, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইকবাল সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদ উর রহমান রয়েছেন। আর এ কমিটির মূল দায়িত্বে ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী দিনে দেশ ও জনগণের জন্য আমরা কী কী করতে চাই, তা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০-এ তা উল্লেখ করেছেন। ইতিমধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও ১১টি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সব সমন্বয় করে ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে।




Discussion about this post