নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতিহার ঘোষণা চলছে। দেয়া হচ্ছে ১৪টি প্রতিশ্রুতি। সেখানে উপস্থিত আছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খান, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুব্রত চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।
সোমবার বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে এ ইশতিহার ঘোষণা শুরু করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন।
বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ইশতেহার ঘোষণার মঞ্চে উপস্থিত হন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এরপর শুরু হয় ইশতেহার ঘোষণা। এর আগে জোটের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এবং ডিসেম্বরের ৮ তারিখে ইশতিহার ঘোষণার কথা বললেও পরে তা করা হয়নি।
ইশতেহার ঘোষণার সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, আমার ৫০ বছরের জীবনে দেশের এমন পরিস্থিতি কখনও দেখিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যে গড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে পর্ব আমাদের। কিন্তু মূল্যবোধকেউ গুরুত্ব দিতে হবে।
নির্বাচনী ইশতেহার প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারস্যাম্য আনা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তাসহ ১৪ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঐক্যফন্ট।
প্রতিশ্রুতিগুলো হলো-
১. জাতীয় ঐক্যগড়া, ২. প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারস্যাম্য আনা, ৩.মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধান, ৪.নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরি, ৫.পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না, ৬. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে, ৭. প্রথম বছরে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে না, ৮. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে, ৯. দেশের সব নাগরিককে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে, ১০.পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোনো বয়স সীমা থাকবে না। সরকারি চাকরিতে শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ছাড়া আর কোনো কোটা থাকবে না, ১১. সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা হবে, ১২. বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড ও গুম পুরোপুরি বন্ধ করা হবে, ১৩. পিএসসি-জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হবে, ১৪. অর্থপাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা হবে।
জোট গঠনের পরপরই ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইশতিহার তৈরির জন্য ৬ সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটিতে বিএনপি থেকে মাহফুজ উল্লাহ, গণফোরাম থেকে আ ও ম শফিক উল্লাহ, নাগরিক ঐক্য থেকে ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডি থেকে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রাখা হয়।




Discussion about this post