নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হচ্ছে। ইশতেহারে তরুণ, নারী এবং বয়স্ক নাগরিকদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। এতে সুশাসনের দিকেও বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান, জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১১ শতাংশে উন্নীতকরণসহ নানা প্রতিশ্রুতি থাকছে ইশতেহারে।
মঙ্গলবার গুলশানের হোটেল লেকশোরে ইশতেহার ঘোষণা করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ইশতেহারে মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক হিসেবে ঘোষণা, তাদের নির্ভুল তালিকা প্রস্তুত এবং মূল্যস্ফীতির নিরিখে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা বৃদ্ধি করাসহ নানা প্রতিশ্রুতিও থাকছে।
ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংবিধান সংস্কার করে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা, ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন, সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা প্রবর্তন, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ, প্রতিহিংসার রাজনীতি না করা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ বাতিল ইত্যাদিসহ নানা প্রতিশ্রুতি থাকছে বিএনপির ইশতেহারে।
জানা গেছে, বিএনপির ইশতেহারে তরুণ দম্পতি ও উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ২০ বছর মেয়াদি ঋণ চালু, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা চালু, শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে ভ্যাট বাতিল এবং ভ্যাটবিরোধী, কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি থাকছে। এছাড়া বিএনপির ইশতেহারে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয়, শিক্ষা চ্যানেল চালু, বিদেশি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি অর্জনে বৃত্তি, ছাত্রসংসদ নির্বাচন, মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা, প্রশ্ন ফাঁস প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রথম ৩ বছরে দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে দুই লাখ মানুষকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি থাকছে।



Discussion about this post