নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-১৫ আসনের মিরপুর মোল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির বলেন, মঙ্গলবার রাতে এক দল দুর্বৃত্তরা ঢাকা-১৫ আসনের মোল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙচুর করে। হামলার সময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
মোল্লাপাড়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী সরাফত আলীর অভিযোগ, হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, টেলিভিশন এবং চেয়ার ভাঙচুরের পর ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
জামায়াত-বিএনপির নেতা কর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছে দাবি করে সরাফত আলী বলেন, ‘হামলায় ডিএনসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক নেতা হারুন উর রশিদ গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ অবিলম্বে হানলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সরাফত।
এদিকে মোল্লাপাড়ার স্থানীয় বিএনপি নেতা আবদুল মালেক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই হামলার ঘটনা সাজানো। কারণ হামলা কখন হয়েছে এলাকার মানুষ সেই বিষয়ে অবগত নয়। যদি হামলা হয়েও থাকে ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত না। আওয়ামী লীগের কর্মীরা নিজেরাই ভাঙচুর করে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন আবদুল মালেক।
উল্লেখ্য, ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার। এ ছাড়া এই আসনে ২০ দলের মনোনীত প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।
Discussion about this post