নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-৯ আসনে নির্বাচনী পরিবেশ উন্নত করতে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আফরোজা আব্বাস। আমি তাকে সম্মান করি। সন্ত্রাসী রাজনীতি বিশ্বাস করি না, নির্বাচনে ‘ব্লেইম গেম’ খেলতে চাই না, সহিংসতা হয়, প্রার্থীদের এমন কিছু করা ঠিক নয়।
বুধবার বিকেলে খিলগাঁওয়ে সবুজমতি ভবনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে, ধানের শীষের প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের এমন অভিযোগের জবাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আলোচনায় বসার কথা জানালেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বেশ কয়েকটি হামলার অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী। আমি পাল্টা কোনো অভিযোগ করব না। তবে আমি বলতে চাই, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। হামলা হয়ে থাকলে থানায় অভিযোগ করুন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তিনি (বিএনপির প্রার্থী) এখন পর্যন্ত কোনও মামলা করেননি।
এরপরই সাবের হোসেন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামিদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। ওই সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ জন্য মামলা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমরা প্রচার-প্রচারণায় নামলেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। হামলার পর একাধিকবার মামলা করতে থানায় গিয়েছি কিন্তু পুলিশ আমাদের মামলা নেয়নি। তারা এককভাবে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কিন্তু আমরা মাঠ ছাড়ব না।’
আলোচনায় বসার প্রসঙ্গে আফরোজা আব্বাস বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার কাজ চালাতে। এ জন্য কখন কোথায় বসবে আমাকে জানাক, আমি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
ঢাকা-৯ আসনটি রাজধানীর খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানাধীন নাসিরাবাদ ইউনিয়ন, দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন ও মান্ডা ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। যেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার।
এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সহধর্মিনী।




Discussion about this post