নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জে রোববার রাতে পৃথক পৃথক স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে দুই হোসিয়ারী শ্রমিককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলো সিয়াম (১৭) ও আলমগীর (৩০)।
সিয়ামের লাশ আজ সোমবার সকালে শহরের ডিআইটি কলোনির পেছন থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। সিয়াম শহরের উকিলপাড়ার আজিজুর রহমান হোসিয়ারির শ্রমিক।
অপর দিকে রোববার রাতে দেওভোগ মাদরাসা রোডে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে আলমগীরকে। হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান।
জানা গেছে, হোসিয়ারী শ্রমিক সিয়াম ফতুল্লার দেওভোগ লিচুবাগান এলাকার মসজিদ গলির হামিদার বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল মিয়ার ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় অবস্থিত আজিজুর রহমানের হোসিয়ারীর শ্রমিক।
পরিবারের লোকজন জানান, রোববার রাত ৯টায় হোসিয়ারী থেকে বের হন সিয়াম। এরপর তিনি বাসায় ফিরে না যাওয়ায় সকালে পরিবারের লোকজন সিয়ামকে খুঁজতে বের হন। এসময় খবর পেয়ে কলোনির পিছনে পড়ে থাকা লাশ সনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। সিয়ামের গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
অপর দিকে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছেন শ্রমিক আলমগীর। রোববার সন্ধ্যায় দেওভোগ মাদরাসার পশ্চিম নগর এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আশংকাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা খানপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আলমগীর এলাকায় দর্জি শ্রমিকের কাজ করতেন। পাশাপাশি এলাকায় একটা চায়ের দোকান ছিল।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার মৃত লাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন ফতুল্লার ভোলাইল শান্তি নগর হাসান মোল্লার বাড়িতে বসবাস করতেন।
খানপুরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার সরোয়ার হোসেন খান জানান, রোগী (আলমগীর) রাস্তায়ই মারা গেছেন। তার সারা শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিশেষ করে পেটে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আলমগীরের বন্ধু শাকিল প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, আলমগীর সন্ধ্যায় চায়ের দোকানের দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় কিছু লোক এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে তাকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনা শুনে শাকিল ও তার বন্ধুরা গুরুতর আহত আলমগীরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ফতুল্লা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে চার থেকে পাঁচজন জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Discussion about this post